চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের খাগরিয়া মাইজপাড়া এলাকায় বসবাস করার জন্য মৌখিকভাবে জমি খাজনা দেওয়ার পর প্রয়োজনে জমি ফেরত চাওয়ার পর জমি ফেরত না দিয়ে মামলা, হামলা, প্রাণনাশের হুমকির প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনার পাশাপাশি জমি ফেরত চেয়ে গত সোমবার (১৩ মে) সকাল ১১টায় দোহাজারী পৌরসভার একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে নুর মোহাম্মদ উল্লেখ করেন, “বিগত ৩৬ বছর আগে আমার মরহুম পিতা মনির আহমদ জীবিত থাকা অবস্থায় আবুল কালাম ও দিল মোহাম্মদ গংকে মৌখিকভাবে তিন গন্ডা জমিতে বসবাস করতে দেয়। পরবর্তীতে জমি প্রয়োজন হলে বিগত ১২ বছর আগে আমার পিতা মরহুম মনির আহমদ খাজনায় জমি নেওয়া দিল মোহাম্মদ ও আবুল কালামকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার বলার পর তারা জমি থেকে সরে না যাওয়ায় সামজিকভাবে বার বার শালিসী বৈঠক করলেও বিবাদীরা কোন বিচার-শালিস মানছিল না। বিভিন্ন জায়গায় শালিস দেওয়ায় আমার পিতা মরহুম মনির আহমদকে ২০১৪ সালে প্রকাশ্যে রাস্তায় মারধর করে গুরুতর আহত করে তারা।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে বিবাদী আবুল কালাম, দিল মোহাম্মদ ও ফয়সালকে সাজা প্রদান করেন। আমার পিতা তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মানসিক যন্ত্রণায় গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মারা যায়। আমার পিতার মৃত্যুর পর আবুল কালাম ও দিল মোহাম্মদ গং জমি ফেরত না দেওয়ার উদ্দেশ্যে নারী নির্যাতন মামলাসহ বিভিন্ন ধরণের মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানী এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আদালত বন্ধ থাকাকালে জোরপূর্বক ওই জমিতে ঘর বাঁধতে চাইলে উক্ত জমির উপর আদালত ১৪৫ ধারা জারী করেন। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৮মে সকাল ৮টায় তারা ঘর বাঁধতে চাইলে আমরা বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে এবং আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে এসময় বাড়ীর গেইট ভাংচুর করে তারা। তখন আমি ৯৯৯এ ফোন করলে সাতকানিয়া থানা পুলিশ আমাকে ও আমার পরিবারকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার প্রতিকার ও জমি ফেরত চেয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাবেয়া বেগম, পিংকি আক্তার, রেজিয়া সোলতানা, আবুল কাশেম।
Leave a Reply